মনুষ্যত্ব ও মহামারী (লেখকঃ সুপ্রদেব সরকার )

লেখকঃ সুপ্রদেব সরকার 
ভাওয়াল মির্জাপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
বাংলা বিভাগ -অনার্স ( চতুর্থ বর্ষ )
Image may contain: 1 person, standing, beard, sunglasses and outdoor
 

মনুষ্যত্ব

মনুষ্যত্বের বৈশিষ্ট্য, মানুষ পরিচয়
আছে কিছু আজব শ্রেণী নিরব ব্যাথা সয়।
জীবিকা রোজ চোখ রাঙিয়ে বড় কথা বলে
যাতনারে লোকায়ে বহুদূরে চলে।

পরিকল্পিত ধরা যদি, কেনো ওরা দ্বীনি?
সব জানেন একমাত্র গড়িয়াছেন যিনি।
একসাথে বসবাস, মুখোশ গুনি মানি
আফিম ধোয়া ছেড়ে হাসে, আছে এক শ্রেণী।

ধনী গরীব ভেদাভেদ থামুক এবার ভাই,
ভুলে সব পণ করি মানুষ হবো তাই।
মানবীকের মন বড় যদি করো দান,
বেঁচে যায় অসাহের গোষ্ঠী সুদ্ধ প্রাণ।

এবার বুঝি সময় এলো মানুষ হও তবে,
কর্মেতেই পরিচয় মেলে, বহু আছে ভবে।
গুনী মানব চণ্ডীদাসও বলে গেছেন তাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই।

মহামারী

একবিংশ শতাব্দীর এক অভিশপ্ত শহরে
বিস্মিত মনোবলে পুতুলের ন্যায় দাঁড়িয়ে
চোখের সামনে আগুন,পা আছে থেমে
অস্থির গগন কাদছেঁ বেশ,জল এলো নেমে।

ভয় নাই কার মনে? মা বলে খোকা ঘরে আয়,
আমি কি আর ওকে ডরাই? আমার যে আছে দায়।
জনশূন্য নগরীতে কাজ কোথা পাই,
না খেয়ে আছে সবে খাবার ঘরে নাই।

এবার বুঝি বাঁচিবার সম্বল টুকু শেষ
পরিচিত মুখ গুলো একে একে নিরুদ্দেশ।
তবুও আছে কিছু স্বার্থ চিন্তিত একজাত প্রাণী
হেসে হেসে অসহায়ের বিলাপ, সবই আমি জানি।

পরাজিত কন্ঠে এবার চুপচাপ মহাশয়
দাবী করি সব পারি, তাতে না পেলাম জয়!
অসহায়ের বুক ফাটে গুরু পূজাঁ লও
সর্বশ্রেষ্ঠ ধরা তুমি এবার সুস্থ হও।


No comments

Powered by Blogger.