My feelings on you ( গল্পঃ সব গল্পের নাম হয় না ) পার্ট -2

 

ডিয়ার আয়োডিন ম্যাম ( সাইকোলজিস্ট)

তোমার একটা নাম থাকুক আমার দেওয়া

মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ কন্যা।

আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক

না হয় আমি হারিয়ে গেলেও, একলা একা সন্ধ্যা তারা

সেই নামেই তোমায় ডাকুক!!

 

চারদিক নিঃশব্দ। বাতাস কেবল বৃক্ষের পাতার মাঝে ভীড় করে আছে । অবহেলিত রাত সেদিন আমার দুচোখ এর যত ঘুম কেড়ে নিয়ে বিনিময়ে একরাশ নিরবতা এনে দিয়ে আড়াল হয়ে গেলো। ঘুম সেতো আমার কাছে বরাবর ই ব্যর্থ হয় আজও হলো। সেদিন বাড়ির ওঠানে বসে পুড়োনো মেসেজগুলো ওল্টে পাল্টে বারবার পড়তে ছিলাম । মস্তিস্ক তখন শান্ত । তাই তাকে বেশি বিরক্ত করলাম না অতি বিরক্ত করতে গেলে যে আমার অনুভুতিগুলোর ১২ টা বেজে যাবে ভালো করেই জানি ।

দেয়ালের ওপাশের তুমি (সাইকোলজিস্ট –লুনা পুস্প মেয়েটার মায়া)

দেখতে দেখতে ২১তম দিন পার হয়ে গেলো আপনার সাথে । মায়াবৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেয়ালের ওপাশের আপনিটা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ইচ্ছে করলেই দেখা করা যায় না, সব কথা বলা যায় না, একসাথে হাঁটা যায়না, রাতের বেলা কফি খেতে খেতে চাঁদ দেখা যায় না, তাতে কি হৃদয়ের শুদ্ধ ব্যাকরন দিয়ে আপনাকে ব্যখ্যা করার মতো চিন্তা করা যায় তাতেই তো মায়া বাড়ে

ইচ্ছে হলে দেখা দিয়েন নয়তো চুপ করেই থাকেন যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল -

অপেক্ষায় থাকাটা বিরক্তিকর কিন্তু সেটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় মাঝে মধ্যে অতি আবেগের বসে, কারণে অকারণে চেয়ে বসি আপনার ফোন নাম্বার অথবা দেখতে চাই মায়াবী মুখ খানা কিন্তগ এর মানে এই নয় যে বিরক্ত লেগে যাবে আপনার এই লুকিয়ে থাকা গুলো

বরং মায়া আরো বাড়ে মনে হয় সামনে ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে

আমি বারবার বলবো আপনাকে চাই হ্যা শুধু আপনাকেই -

হৃদয় ডাকছে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমার বুকগহীনে কান পেতে শুনেন - শুনতে পাচ্ছেন কি? বুকের ভিতর ধুক ধুক শব্দ ওটা শুধু শব্দই নয় আপনার নাম ধরে কেমন ডাকছে

কাছে এসে শুধু আমার চোখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখেন

চোখটা বন্ধ করলে কার ছবি ভেসে উঠে ? বুঝতে পারবেন আপনার প্রতি টান কতো!

কাছে এসো -

শুধু কান দিয়ে নিরবে আমার কথা শুনো

শ্রুতি কেমন, কন্ঠ কি বলে ?

তখনই বুঝবে তুমি ডাকি আমি কতো!

কল্পনায় শুধু আমার হাতে একবার স্পর্শ করে দেখেন

কেপে উঠবে আপনার হৃদয় স্পন্দিত হবে বুকগহীন তখন হয়তো বুঝতে পারবে ভাবি আমি কতো!

 

প্রতিদিন আপনার স্ক্রিনশট নিতাম ক্লাস আর কি , আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতামা ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করতাম অপেক্ষা করতাম কখন একটু হাসবেন –

তবে সত্যিই আপনার অনুমুতি না নিয়ে এগুলা করা নির্ঘাত অন্যায়

যেদিন বললেন এগুলা পাপ সেদিন থেকেই নিজেকে পরিবর্তন করে নিয়েছি এখন আর স্ক্রিনশট নেইনা আর কারনে অকারনে এসএমএস ও করিনা

তবে মনের দেখা বড় দেখা – তাই হয়তো এখন পর্যন্ত ৩ বার স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন

 

পৃথিবীর এমন কোন ভাষা নেই যা দিয়ে বুঝাতে পারি আপনার জন্য জমানো অনুভূতিগুলো কেমন!

এইতো ২-৩ টা দিন কথা হয়নি নিখোঁজ ছিলেন ইচ্ছে হলেও জানতে পারিনি কোথায় আছেন কেমন আছেন? তাই বলে কি উল্টো পথে পা বাড়িয়েছি?

অনেক ভেবেছি সে কথা কি আপনি জানবেন? একা চলে যেতে পারলেন না সঙ্গে করে আমার হৃদয় কেন নিয়ে গেলেন আমি তো আমার হতে পারিনি অপেক্ষা করছি প্রতিটি সেকেন্ড!

ফিরে আাসার পর মনে হয়েছে আপনার ফিরে আসার চেয়ে সুন্দর পৃথিবীতে দ্বিতীয় আর কিছু নেই

 

- বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সমস্ত সুন্দর একসাথে জড়ো করলেও আপনার এক হাসির সুন্দরের সমান হবে না।

আপনি দেখতে চান কতটা অপেক্ষা করতে পারি আপনার জন্য?

তবে আমিও দেখিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ!

আমার পিছুটান কতটা বিশুদ্ধ দিন শেষে একটাই চাওয়া আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুক মন সবসময় ভালো থাকুক আপনার।

 

আপনার মুখে হাসি দেখতে চাই বারো মাস - আপনি কি জানেন? ভালো লাগে সাইকোলজিস্ট আপনার হাসি মাখা মুখ

আপনার মধ্যেই খুঁজে ফিরি আমার সব সুখ!

কারণে অকারণে শুধু আপনাকেই বিরক্ত করতে চাই!!!

 

This is The Reality

একটা সময় পরে কারো প্রতি তীব্র মায়া কাজ করলেও তাকে বলা হয় না- "তোমাকে আমার প্রয়োজন" কাউকে প্রচণ্ড ভালো লাগলেও তাকে জানানো হয় না- "তুমি মানুষটা আমার খুব পছন্দের " কাউকে খুব করে চাইলেও তাকে একবারের জন্যও মুখ ফুটে বলা হয় না- "আমার সাথে আজীবন থেকে যাও না,প্লিজ." মনের অবস্থা শত খারাপ হলেও কাউকে বলা হয়না- "আমার মনটা আজ খুব খারাপ" নিজের পক্ষে করা কঠিন কাজগুলোর দায়ভারে পিষ্ট হলেও জানানো হয়না- "আমি আর সহ্য করতে পারছি না" কষ্টের তীব্রতায় বুকফেটে কান্না আসলেও কাউকে বলা যায় না- "আমার ভেতরটা না,ভেঙে-চুরে যাচ্ছে" কারো জন্য বুকের ভেতর অনেক খানি ভালোবাসা লুকিয়ে রাখলেও তার সামনে আর প্রকাশ করা হয় না।আবার,কোন কারণে প্রচণ্ড কষ্ট হলেও ঠোঁটের কোণে মেকি হাসি দিয়ে সব কষ্টকে বুকের ভেতর চেপে দেওয়া হয়। আমরা হয়তো অনুভুতিকে প্রকাশ করা বন্ধ করে দেই।অথচ আমরা কিনা মনের ভেতরে প্রতিটা অনুভুতিই অনুভব করি। আর সেসব অনুভুতিকে অপ্রকাশিত করে রাখার পেছনে থাকে অনেক তিক্ত কারণ।যেসব কারণে আমরা স্পষ্টভাবে জেনে যাই যে--- "সামনে মানুষটা বোঝার ভান করলেও,আসলে সে কিছুই বোঝে না।দিনশেষে নিজের বলে জানা,নিজের কথা বলা,নিজেকে বোঝার মতন বিশ্বস্ত মানুষটার বড্ড অভাব।"

 

ইতি -

মিঃ সাইকো (মোঃ মাসুদ রানা)