ক্রাইস্টচার্চ হামলা: নিহতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি
শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নূর ও লিনউড মসজিদে এই হামলার ঘটনায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হন; আহত আরও ৪৮ জন।
নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাস নেই, অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান থাকেন অকল্যান্ডে। সেখান থেকে তিনি ক্রাইস্টচার্চের বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
তিনি বলেন, “শুক্রবার অনেকেই জুমার নামাজ পড়তে আল নূর মসজিদে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কযেকজন না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। পরে হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজনের ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান।”
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- লিংকন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. আবদুস সামাদ ও তার স্ত্রী এবং হোসনে আরা ফরিদ নামের এক গৃহবধূ।
শফিকুর রহমান বলেন, ষাটোর্ধ্ব আবদুস সামাদের বাড়ি ময়মনসিংহে, এক সময় তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
নিউ জিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড়রা হামলার সময় আল নূর মসজিদে গিয়েছিলেন জুমার নামাজ পড়তে। ভেতরে গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পেরে তারা বাইরে থেকেই দ্রুত নিরাপদে সরে যান।
গোলাগুলির ওই ঘটনার পর বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড তৃতীয় টেস্টটি বাতিল করা হয়। শনিবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ওই ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
আমাদের সিলেট প্রতিনিধি জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার দুপুরে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিরাপদে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।
নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের মিশন না থাকায় অন্য একটি মিশনের মাধ্যমে সে দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
No comments